WHAT'S NEW?
Loading...

রোজার পূর্ণতা ও বিশুদ্ধতার জন্য ফিতরা |

সদকাতুল ফিতর রমজানের একটি অন্যতম ইবাদত। এটি ঈদের দিন গরিবদের খাবারের জন্য, ঈদের আনন্দ ধনী-গরিব সবাই ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য শরিয়ত প্রদত্ত ব্যবস্থাপত্র। সদকাতুল ফিতর সম্পর্কে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা এ দিনটিতে তাদের অন্যের কাছে চাওয়া থেকে বিরত রাখো।’ জাকাতের মতো এটিও অর্থনৈতিক ইবাদত। রোজা পালন করতে গিয়ে আমাদের অনেক ভুলত্রুটি হয়েছে। তাই আমাদের এ সাধনা যেন বিফলে না যায়, অশেষ নেকি অর্জন করে যেন আখিরাতের জীবনকে ধন্য করতে পারি, সে জন্য আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) একটি ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেটি হলো ‘সদকাতুল ফিতর’ বা ‘ফিতরা’। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজা পালনকারীর জন্য সদকাতুল ফিতর আদায় অপরিহায করে দিয়েছেন, যা রোজা পালনকারীর অনর্থক, অশ্লীল কথা ও কাজ পরিশুদ্ধকারী ও অভাবী মানুষের জন্য আহারের ব্যবস্থা। যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের আগে এটা আদায় করবে তা সদকাতুল ফিতর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে। আর যে ঈদের সালাতের পর আদায় করবে তা অপরাপর (নফল) সদকা হিসেবে গৃহীত।’ (আবু দাউদ : ১৩৭১)। প্রশ্ন হলো ফিতরা দেবেন কে? এটি দেবেন সেই রোজাদার ব্যক্তি, যিনি ঈদের দিন ভোরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ হিসাবে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা বা সমপরিমাণ সম্পদের মালিক। তার ওপরই সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব।
তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের পোষ্যদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। প্রশ্ন হচ্ছে, ফিতরা কত দিতে হবে? ১৬৫০ গ্রাম অথবা এর সমমূল্য গম ও আটার হিসাবে। খেজুর, কিশমিশ, জবের হিসাবে ৩৩০০ গ্রাম অথবা এর সমমূল্য। সদকাতুল ফিতর দুই সময়ে দিতে হয়। উত্তম হলো ঈদের নামাজের আগে আদায় করে দেওয়া। কেননা, রাসুল (সা.) ঈদগাহে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। (মুসলিম শরিফ) ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক এবার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা। জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর দিতে হবে। একজন দরিদ্র মানুষকে একাধিক ফিতরা দেওয়া যেমন জায়েজ, তেমনি একটি ফিতরা বণ্টন করে একাধিক মানুষকে দেওয়াও জায়েজ। সদকাতুল ফিতরের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য হচ্ছে ঈদের খুশিতে গরিব শ্রেণির লোককেও শামিল করে নেওয়া। এর মাধ্যমে রোজার মধ্যে ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষতিপূরণও হবে।
দরিদ্র ব্যক্তির প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা হয়। এর ফলে ঈদের দিনগুলোতে দরিদ্র ব্যক্তিরা ধনীদের মতো স্বচ্ছলতা বোধ করে। সদকাতুল ফিতরের ফলে ধনী-গরিব সবার জন্য ঈদ আনন্দদায়ক হয়। সদকাতুল ফিতর আদায়কারী দানশীল হিসেবে পরিগণিত হয়। সদকাতুল ফিতর দ্বারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা হয়। তিনি নিজ অনুগ্রহে বান্দাকে পূর্ণ এক মাস রোজা পালনের তওফিক দিয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে সদকাতুল ফিতরের মতো আরেকটি ভালো কাজের তাওফিক দান করলেন। সদকাতুল ফিতর প্রদানের সময় যে এলাকায় সে অবস্থান করছে, ওই এলাকার গরিবরাই বেশি হকদার। ওই এলাকায় সে স্থায়ী হোক বা অস্থায়ী। (সংগ্রহ)

Courtesy of:
Radio Green FM | রেডিও গ্রীন এফএম-www.radiogreenfm.com | Music without Boarder | Keeps listing new hits and trendy Eid Collection | Its makes only for you |

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন